একদিন আপন খেয়ালের বসে নিজস্ব নভোযানে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের শেষ লগ্নে তোমাকে দেখলাম সাদা নারী আপন আত্নার উপাসনালয়ে দাঁড়িয়ে আছ স্বার্থক পূঁজার অর্ঘ্য হয়ে। বাড়ন্ত যৌবন উদ্বেলিত ক্ষিপ্র হাসি কামনার গন্ধ, মায়াময় নীল চোখের চাহনি সব মিলিয়ে সেদিন তুমি ছিলে স্বর্গের মৃগী। আমার অসতর্কহীন পদযাত্রা শয়তানের সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ সর্বপ্রথম তোমাকে প্রণাম করলাম নারী। তুমি সব কিছু বুঝলে বুঝলে অন্ধকার কি চায় কি চায় তার অস্তিত্ব? বিশাল আয়োজনের ব্যতিব্যস্ত ভুলে দিক হীন ভুমিকায় আমাকে স্বাগত জানালে। সেদিন অনন্তরোদ্রের মত জ্বলে উঠা সাদা নারী তুমি ছিলে স্বার্থবাহ মদের গন্ধ আত্নপ্রত্যয়ের দৃঢ় কাঠিন্য বসন্তের মত কল্যাণ জীবনে? তারপর একদিন প্রকৃতির চিরন্তন ক্রমধারার সূত্রে বসন্ত শেষে গ্রীষ্ম আসলো নিজস্ব রূপে প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে সাজলো, প্রকৃতির মত পরিবর্তনশীল নারী তুমিও বদলে গেলে সহসা? তারপর একদিন স্বার্থের পথ বেয়ে আমার উপাসনালয়ের সব আয়োজন ভেঙ্গে চুড়ে নীলাভ ব্যথা দিয়ে চলে গেলে অজানা ঠিকানায়। আমার বৃহৎ মহাদেশ দেখা হলোনা? শুদ্ধ অশুদ্ধ মিশ্রনের সংকোচিত মন নিয়ে সাদা নারীকে খুজলাম সর্বত্র। অনেক দিন পর বয়সের অসৌখিন বাগানে হঠাৎ একদিন আবার সাদা নারীকে দেখলাম ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে আগের মতোন? আমি হাসবো না কাঁদবো? যেখানে সব কিছু বিজলী হয়ে জ্বলে। নিজের বিবেকের সাথে অনেক যুদ্ধ করলাম সবুজ স্বপ্নের মাঠে অনেক কচি ঘাস খুন করলাম রক্তে লালে লাল হয়ে গেল হৃদয়ের সবুজ মাঠ। যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লাম তবুও নীরব হয়ে দাড়িয়ে রইলো সাদা নারী? একটিবারও সহানুভুতির হাত বাড়ালে না? তারপর একদিন আপন আত্বার অস্থিরতায় ব্যর্থ পতাকা উড়ালাম জীবন ক্যাম্পাসে স্বপ্নহীন একটা পৃথিবী সৃষ্টি করলাম যেখানে আমি ছাড়া দ্বিতীয় আর কেউ নেই।