তুমি জানো না বন্ধু জানো না মোর বক্ষ মাঝে কি যে জ্বালা কি যে কষ্ট লয়ে বেচে আছি নষ্ট জীবন লইয়া। যদি জানতে বন্ধু চকিতে থামতে কাঁদিয়া বলতে ওগো বিরহিণী কার ছল যাতনায় করেছো ক্ষয় নিজেরে সোনা তনু খানি? যার লাগি তোমার বিবাগী জীবন তার লাগি কেন আজও হও বনমালী যদি সে বুঝতো তোমার যাতনা সম শুধাবার তরে নিজেরে সমর্পনে লুটায়ে ধুলায় কাঁদতো অঝোরে খুঁজিতো তোমার চরণ পাগলিনী বেশে। তুমি জানো না বন্ধু জানো না মম ছাতি মাঝে এখনও কার বাঁশী বাঁজে দিবানিশি কার বিহনে চিতার আগুন জ্বলে উঠে ধাউ ধাউ করে কারবা লাগি চাতক হয়ে ঘুরে ফিরি গিরি, নদী, মরুভুমি কারবা প্রেমের তৃষ্ণা লয়ে শ্রাবণের লাগি কাঁদি অহর্নিশ। যদি সে হেরিতো বাতিক আমারি আসতো ফিরে গ্রহ নক্ষত্র ছাড়ি কোলেতে লয়ে মোরে সোহাগে ভুলায়ে রাখতো চির জনমের তরে করে বন্ধি। তুমি জানো না বন্ধু জানো না তার লাগি এখনও দক্ষিণা দুয়ারে বসি আকাশের তারার পানে চেয়ে দিন গুনি। এখনও শিউলি কুড়ায়ে গাথি মালা রাখি যতন করে যদি সে আসে আবার ফিরে এ ভাংগা ঘরে পরায়ে মালা নাচিবো আনন্দে চকিতে চকিতে। সন্ধ্যার প্রদ্বীপে দেখবো তার চাঁদ মুখ খানি কতটা মলিন হয়ে গেছে আমা লাগি কাঁদি। বাসনা তেলের মাখনা দিয়া বাধবো বেণী যতন করে পড়ায়ে চেলি জড়ায়ে রাখবো আদরে সোহাগে বাহু ডোরে বাঁধবো আর না যেনো পালাতে পারে এ জন্মের তরে। তুমি জানো না বন্ধু জানো না নারী অবলা নারী অসহায় চিরকাল সইতে পারে না যাতনা কোন কাল ভালবাসি একবার বললে দিতে পারে জান কালের খেলায় সে সব কথাগুলো আজ হয়ে গেছে ম্লান। এখন তারা সবলা স্বার্থের গন্ধে মাতোয়ারা একটু লাভের জন্য প্রেমও মন্দির ভাঙ্গতে করেনা হেলা। আজ আমারে দিয়ে বিভাগী জীবন যে গড়লো সুখের ভুবন কোন অভিযোগ নেই তার প্রতি। তারে ভালবাসি বাসবোভাল চিরকাল আমার এ বুকে যতই আঘাত হানুক চিরকাল।i