আমি যাকে ভালবাসি সমুদ্রের মতন
তার নাম দিলাম বন্যা।
ইচ্ছে ছিল তার নাম দিবো বৃষ্টি,
কারণ খরা- তৃষ্ণায় যন্ত্রনা কাতর পৃথিবীটাকে
বৃষ্টি যেমন তার পরশ সোধা দিয়ে শান্ত করে
ঠিক তেমনি বৃষ্টি
আমার যন্ত্রনা কাতর পৃথিবীটাকে
তার পরশ সোধা দিয়ে শান্ত করবে?
কিন্তু পরে দেখলাম ঠিক তার উল্টো
ভালবাসার আকাশ হতে বৃষ্টি নাম ধরে
আমার পৃথিবীতে সে আগুন হয়ে পড়ে।
যন্ত্রনায় নীল করে দেয় সুখ সঙ্গম
স্বপ্নের সবুজ মাঠ বিবর্ণ করে দেয় সহসা
আমার অবুঝ পৃথিবী কাঁদতে থাকে অস্থিরতায়।
তার পরও ভেবেছিলাম
বৃষ্টি আর মাটির সন্ধিক্ষনে
আমার তপ্ত আবেগটাকে ঈষৎ হালকা করে
ঠিক দিগন্তের মতন আকাশটাকে চুমে
নরম ঘাস হয়ে উবু হবো বৃষ্টির বুকে।
কিন্তু পরিহাসের সৃষ্টিতে সে এখন বন্যা, বৃষ্টি নয়
তার সৃষ্টিতে এখন শুধু ভাঙ্গনের কান্না।
তবুও বৃষ্টির ভালবাসার আদি ঘাসফুলে আবৃত জীবন
গোধূলীর সীমারেখায় পা রাখে ক্লান্ত সুখে
আর জন্ম দেয় বিকলাঙ্গ ভালবাসার গ্রহ –নক্ষত্র।
তার পরও বৃষ্টি হতে সৃষ্ট বন্যার
পুরাতন ইতিহাস আঁকড়ে ধরে
আমৃত্যু টিকে থাকতে চায়
আমার অপরাজিত ভালবাসা।