এই পৃষ্ঠা প্রিন্ট করুন
বৃহষ্পতিবার, 20 আগষ্ট 2020 13:53

ডাক নির্বাচিত

লিখেছেন
লেখায় ভোট দিন
(0 টি ভোট)
                খে-মৃদু-হাসি অহিংস বুদ্ধের 
ভূমিকা চাই না। ডাক ওঠে যুদ্ধের। 
গুলি বেঁধে বুকে উদ্ধত তবু মাথা- 
হাতে হাতে ফেরে দেনা-পাওনার খাতা, 
শোনো হুঙ্কার কোটি অবরুদ্ধের। 
দুর্ভিক্ষকে তাড়াও, ওদেরও তাড়াও- 
সন্ধিপত্র মাড়াও, দু'পায়ে মাড়াও। 
তিন-পতাকার মিনতিঃ দেবে না সাড়াও? 
অসহ্য জ্বালা কোটি কোটি ক্রুদ্ধের!  
 
ক্ষতবিক্ষত নতুন সকাল বেলা, 
শেষ করব এ রক্তের হোলিখেলা, 
ওঠো সোজা হয়ে, পায়ে পায়ে লাগে ঠেলা 
দেখ, ভিড় দেখ স্বাদীনতালুব্ধের।  
 
ফাল্গুন মাস, ঝরুক জীর্ণ পাতা। 
গজাক নতুন পাতারা, তুলুক মাথা, 
নতুন দেয়াল দিকে দিকে হোক গাঁথা- 
জাগে বিক্ষোভে চারিপাশে ক্ষুব্ধের।  
 
হ্রদে তৃষ্ণার জল পাবে কত কাল? 
সম্মুখে টানে সমুদ্র উত্তালঃ 
তুমি কোন্ দলে? জিজ্ঞাসা উদ্দামঃ 
'গুণ্ডা'র দলে আজো লেখাও নি নাম?            
            
469 বার পড়া হয়েছে
শেয়ার করুন
সুকান্ত ভট্টাচার্য

সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি। ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট মাতামহের ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়ীতে,কালীঘাট,কলকাতায় তার জন্ম।। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার, বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার, উনশিয়া গ্রামে। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। সুকান্তের বাল্যবন্ধু ছিলেন কবি অরুনাচল বসু। সুকান্ত সমগ্রতে লেখা সুকান্তের চিঠিগুলির বেশিরভাগই অরুনাচল বসুকে লেখা। অরুনাচল বসুর মাতা কবি সরলা বসু সুকান্তকে পুত্রস্নেহে দেখতেন। সুকান্তের ছেলেবেলায় মাতৃহারা হলেও সরলা বসু তাকে সেই অভাব কিছুটা পুরন করে দিতেন। কবির জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছিল কলকাতার বেলেঘাটার ৩৪ হরমোহন ঘোষ লেনের বাড়ীতে। সেই বাড়িটি এখনো অক্ষত আছে। পাশের বাড়ীটিতে এখনো বসবাস করেন সুকান্তের একমাত্র জীবিত ভাই বিভাস ভট্টাচার্য। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সুকান্তের নিজের ভাতুষ্পুত্র।

সুকান্ত ভট্টাচার্য এর সর্বশেষ লেখা