****স্বাধীনতা আজ ক্ষুদার্থ**** হে বাংলাদেশ! তুমি দিয়েছ মোদের গর্বিত স্বাধীনতা। দেখিয়েছ তুমি পরতে পরতে সরলতার করুণতা! হে বাংলাদেশ! আমি গর্বিত! আমি গর্বিত! আমি গর্বিত তোমার কোলে জন্ম নিয়ে। তবে সংশয় জাগে ঘুমাতে মাগো, তোমার কোলে মাথা দিয়ে। পৃথিবীর কত শত দেশের সামনে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি হাজার বার! তবে বার বার কেন আক্ষেপ জাগে মাগো, আঁয়নাতে কালি মাখা মুখ, দেখছি আমি কার? হে বাংলাদেশ! তুমি জন্ম দিয়েছ যে জাতি, সে জাতি হারতে শেখেনি কোন কাল। এক পা পিছিয়ে দু পা এগিয়েছে তারা চিরকাল! তবে কেন বার বার এই পিছুটান? রাগ হয় মাগো তোমার উপর, সোনার মাটিতে দিয়েছ অনেক, কুলাঙ্গারের জন্মদান! হে বাংলাদেশ! হে বঙ্গমাতা! কেন আজ লজ্জা হয় মনে? কেন দাঁড়াতে পারি না, আয়নার সমুক্ষে আর? কেন আঁয়নার মাঝে চোখে পরে শুধু, তনুর মুখটা বার বার? মাগো! কেন আঁয়নার মাঝে, নিজেকে আজ বড় অপরাধী মনে হয়? কেন তনুর বিবস্র শরীরটা আজ, ঐ কালভার্টের তলায় পরে রয়? কেন মাগো? কেন রাজন তোমায় চিৎকার করে ডেকেও পায়নি পার? কেন রাকিবের মত নিস্পাপ কিশোর মরছে হাজার বার? কেন আমি তাকাতে ভয় পাই? ছোট্ট শিশু মেঘের মুখের দিকে? কেন পাইপের মধ্যে জিহাদটা আজও, চিৎকার করে ডাকে? কেন মাগো? কেন আজও ফেলানির লাশটা ঝুলে আছে কাটাতারে? কেন আজও সাত খুনের কান্না থামেনি ওই শীতলক্ষার পারে? কেন পিলখানা আজও ভুলতে পারে না বুলেটের সেই পোরা গন্ধ? কেন মাদকের বিষে ঐশীটাও আজ বিবেকের কাছে অন্ধ? কেন মাগো? কেন এই লজ্জা? কেন তোমার ছেলেরা রক্তদিয়ে আপন করে নিয়েছিল চিরশয্যা? মাগো চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তোমার কোলে মাথা গুজে লুকাতে ইচ্ছে করে! ভয় করে মা! খুব ভয় করে! এই বুঝি আমাকে কোল থেকে টেনে, ওরা তোমায় বিবস্র করে! মাগো তোমার জন্য এনেছিলাম মোরা স্বাধীনতার মালা গাথা! সেই মালা আজ ছিরতে দেব না দিয়ে গেলাম তোমায় কথা! দেখে নিও মা! সব কান্নার শেষ হবে একদিন। ভুলে যেও না মা! যুগে যুগে তোমার ছেলেরা মরতে শিখেছিল, তবুও কভু হারতে শেখেনি। তোমার স্বাধীনতা বার বার ছিনিয়ে আনব মোরা, কথা দিলাম তোমায়! হে বঙ্গজননী! তারিখ:২৬শে মার্চ ২০১৬ ইং সময়: রাত -১২:৩৪