আষাঢ়ের সময় মোঃ মোশাররফ হোসেন চ্যালা, পুঁটি লাফায় খালে ব্যাঙে ডাকে ঘ্যা ঘ্যাকুর ঘ্যা। নতুন জোয়ারের ছোঁয়া পেয়ে করছে সবাই কলাবলা। ছোট বড় জোড় মিলিয়ে ছুঁটছে খাল-বিলের তরে। কারো কাঁধে চাঁইয়ের বোঁঝা কারো মাথায় বাঁধা গামছা। কারো হাতে থালা বাঁটি কেউবা লয় ড্যাক। হরেক রকম জালের বাহার ছিপে বাঁধা বরশি। বোয়াল,শোল,রুই, কই থাকবে না কিছু বাকি। সব ধরিবে ড্যাক ভরিবে খেলবে মাছের হলি । বিকেল হলে গল্প করে পাশে বসে পান পুড়ে মুখে। বারান্দার কোনে বসে দাদা-দিদি ব্যস্ত জাল বুনে। আকাশ হঠাৎ কালো করে মেঘ সাঁজায় ভেলা। একটু একটু জড়ে পরে আবার ফিরে যাবার তাড়া! ছেলেগুলো খেলছে মারবেল ধায়েন দিতেই কুঁড়া কুঁড়া। বৃষ্টি এলো বৃষ্টি এলো এই ভয়ে কাম সারা। মেয়েগুলো বউয়াছি দু দলে বেঁধে এই খেলা। ছেলে মেয়ে উভয় মিলে খেলে ফুঁলের টোকা। আয় রে আয় আয় আমার শালিক,টিয়া আয় ছুঁটে ময়না। একটা দে টোকা তারে দেখবো নাম কি করে কয়? বুদ্ধি মন্ত্রর কত কি খেলতে খেলতে কাটে বেলা। সন্ধ্যা হলে সবে বাড়ি ফিরে শান্ত হয়ে যায় তখন পাড়া।।